হাওজা নিউজ এজেন্সি: কারবালা নাও নিউজ এজেন্সিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসোরি জানান, “ইমাম হুসাইন (আ.) এবং হযরত আব্বাস (আ.) এর পবিত্র রওজা পরিদর্শন অত্যন্ত আবেগময় অভিজ্ঞতা ছিল। দর্শনার্থীর ভক্তি এবং স্থাপত্যের জাঁকজমক আমাকে মুগ্ধ করেছে।”
তিনি কারবালা, নাজাফ, সামেরা ও কাজেমাইন শহরের অন্যান্য পবিত্র স্থানগুলোর মহিমাও তুলে ধরেছেন। মেসোরি বলেন, “এই স্থানগুলো শিয়া সম্প্রদায়ের কাছে অসীম আধ্যাত্মিক গুরুত্ব বহন করে।”
সফরের আধ্যাত্মিক ও মানবিক পরিবেশকে তিনি উষ্ণ ও আতিথেয়তায় ভরপুর হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এছাড়া, ইমাম হুসাইন জাদুঘরকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ইতিহাস সংরক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ মিশন হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
রওজা সংলগ্ন গ্রন্থাগার সম্পর্কে তিনি বলেন, “এটি অসাধারণ একটি গ্রন্থাগার—সুপরিসর ও সমৃদ্ধ, যেখানে রয়েছে প্রায় দুই লাখ মুদ্রিত বই এবং প্রায় চার কোটি ডিজিটাল শিরোনাম। বিশ্বজুড়ে দেখেছি এমন গ্রন্থাগারের মধ্যে এটি অনন্য।”
মেসোরি আরও যোগ করেন, “শিক্ষাকে প্রসারিত করা এবং তা তরুণদের কাছে সহজলভ্য করা জাতীয় উন্নয়ন ও আঞ্চলিক বৈষম্য হ্রাসের জন্য অপরিহার্য।”
সফরের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, “এই পবিত্র রওজা আধ্যাত্মিক গভীরতা ও প্রশান্তির শক্তিশালী অনুভূতি প্রদান করে। আমি আন্তরিকতা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে এই অভিজ্ঞতা আমার দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে চাই।”
ক্রিস্টিনা মেসোরির এই সফর কেবল সাংবাদিকতার দায়িত্ব ছিল না; এটি ছিল এক গভীর আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা। দেশে ফিরে তিনি কারবালা, এর মানুষ এবং পবিত্র স্থানগুলো সম্পর্কে সৎ ও চিন্তাশীল বর্ণনা প্রদানের অঙ্গীকার করেছেন।
সূত্র: কারবালা নাও এজেন্সি
আপনার কমেন্ট